গ্রামীনফোন সিম কোম্পানির উপর নতুন সিম বিক্রির নিষেধাজ্ঞা দিল বিটিআরসি
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির সিদ্ধান্তের ওপর প্রভাব পড়ছে পুঁজিবাজারে। গ্রামীনফোনের নতুন সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার শেয়ারবাজারে গ্রামীণফোনের দাম কমেছে। অপরদিকে গ্রামীণফোনের এই
নিষেধাজ্ঞার কারণে অন্যান্য সিম কোম্পানিগুলোর নতুন সিম বিক্রি এবং গ্রাহক ধরার সুযোগ বাড়ছে। এমন আশাবাদে বাংলাদেশে থাকা বাকি সব সিম কোম্পানিগুলোর শেয়ার দাম বেড়েছে। এর প্রেক্ষিতে বলা যায় গ্রামীণফোনের সর্বনাশ বাকি সব সিম কোম্পানির পৌষ মাস। কারণ আমাদের দেশে একমাত্র গ্রামীণফোন একচেটিয়া ব্যবসায় জমজমাট বাজার ছিল। বিটিআরসির এই নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের বাজার সবার তলানিতে চলে এসেছে। তবে বিটিআরসির এই নিষেধাজ্ঞার পেছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ। যা এই সিম কোম্পানিকে বারবার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এরই ফলস
How to Make Money in Real Estate
Best insurance company in Bangladesh
শ্রুতিতে বিটিআরসি তাদেরকে নিষেধাজ্ঞ া দিতে বাধ্য হয়েছে। পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেডের বিরুদ্ধে মানসম্পন্ন, সেবা দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ থাকার কারণে। নতুন সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন বিটিআরসি। এদের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন থেকেই গ্রাহকরা বলে আসছিল কিন্তু তারা এর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ২৯ জুন বুধবার সন্ধ্যায় বিটিআরসির পক্ষ থেকে মাধ্যম এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বাংলাদেশের শীর্ষ মোবাইল নেটওয়ার্ক
অপারেটর গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কারণে এদের শেয়ার দরপতন ঘটেছে। ৩০ শে জুন বৃহস্পতিবার সারা দেশে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে গ্রামীণফোন কোম্পানিটির শেয়ারটির দর ৬ টাকা বা ২ শতাংশ কমেছে। গ্রামীণফোনের সর্বশেষ শেয়ার লেনদেন হয়, ৩০০ টাকা ১০ পয়সা দরে। এদিন কোম্পানিটি ১ হাজার ৩২ বারে ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৬০ টি শেয়ার লেনদেন করেছে। যার বাজার মূল্য ৫ কোটি ৯.1 লাখ টাকা। অন্যদিকে গ্রামীণফোনে কোম্পানির, এই সর্বনাশা অবস্থায় যেন পৌষমাস হয়ে এসেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিযোগাযোগ খাতের আরেকটি কোম্পানি রবি অজিয়াটা লিমিটেডের শেয়ারে। বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ারের দর বৃদ্ধির তালিকায়
১০ম অবস্থানে রয়েছে কোম্পানিটি। একটি প্রচারিত কথা রয়েছে কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ ক্ষেত্রেও সেটি ঘটেছে গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে। একটি সূত্রে জানা যায় এদিন রবি অজিয়াটা লিমিটেডের শেয়ারের দর বেড়েছে ১ টাকা ৫১ পয়সা বা 5.26 শতাংশ। এদিনে শেয়ারটি সর্বশেষ ৩০ টাকা ১০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। এই তথ্য অনুযায়ী কোম্পানিটি ২ হাজার ৭৩৪ বারে ২৬ লাখ ৯৩ হাজার ৭৩০টি শেয়ার লেনদেন করে। ধারণা করা হচ্ছে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে বিটিআরসির নিষেধাজ্ঞার কারণে সিম বিক্রি বন্ধ হবার, ফলে দেশের অন্য মোবাইল অপারেটরগুলোর সিম বিক্রির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এতে করে
বৃদ্ধি পাবে রবি অজিয়াটার সিম বিক্রয়ের পরিমাণ। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে রবি অজিয়াটা লিমিটেডের শেয়ারের প্রতি। আর একইভাবে গ্রামীণফোনের প্রতি বিটিআরসির নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশে থাকা অন্য সব সিম কোম্পানি অপারেটর গুলোর শেয়ার বাজারে দর বেড়েছে। তবে তবে গ্রামীণফোন যদি আবারও গ্রাহক সেবা ঠিকমতো দিতে পারে তাহলে আশা করা যায় যে তারা কয়েক বছরের মধ্যেই এই ক্ষতির দিক থেকে সরে আসতে পারবে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক কোম্পানি গ্রামীণফোনকে এই ক্ষতির সম্মুখীন হতে বাঁচার জন্য অবশ্যই গ্রাহক সেবার মান উন্নয়ন করতে হবে। বিটিআরসি হয়তো তাদের উপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তা উঠিয়ে নেবে । এতে করে গ্রামীণফোন আবার স্বাভাবিকভাবে তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবে। যদিও ধারণা করা হয় গ্রামীণফোন যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে প্রায় চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে। এ সময়ে বাংলাদেশে থাকা যে অন্য মোবাইল কোম্পানি অপারেটরগুলো রয়েছে তা এই চার পাঁচ বছরে বেশ কিছু বাজার দখল করে নিবে। যা গ্রামীণফোন সিম কোম্পানির জন্য একটি ভাবার বিষয় ।